.







আমার পরিচয়

শাকিল আহমেদ


আমার জন্ম তারিখ

০৬ জুলাই ১৯৯৫ খ্রিঃ 


আমার জন্মস্থান

জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার দক্ষিণ গিলাবাড়ী গ্রামের এক সম্ব্রান্ত মুসলিম পরিবারে আমার জন্ম। আমার বংশ পদবী ‘ফারাজী’ । আমার ফেসবুক প্রোফাইল ভিজিট করুন।


আমার পড়াশোনা

স্নাতক ও স্নাতকোত্তর - অর্থনীতি বিভাগ, আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ।

উচ্চ মাধ্যমিক- শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ, ময়মনসিংহ।

মাধ্যমিক- গুঠাইল হাইস্কুল এন্ড কলেজ, ইসলামপুর, জামালপুর।

প্রাথমিক শিক্ষা - গুঠাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইসলামপুর, জামালপুর।


আমার সাহিত্য ও রচনা


আমার পিতার পরিচয় 

শাকিল আহমেদ এর পিতার নাম মোঃ আব্দুল জলিল ফারাজী, তিনি ময়মনসিংহস্থ সরকারি আনন্দ মোহন কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক অধ্যয়নকালে প্রথমে পাকিস্থান সেনাবাহিনীর একজন সৈনিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও পাকিস্থান কেন্দ্রীয় সরকার কতৃক গোপনে বাঙালী সৈন্য নিরস্ত্রীকরণ চলাকালে তৎকালীন পূর্বপাকিস্থান তথা বাংলাদেশের নিজ গ্রামে চলে আসেন। দীর্ঘ সফরের কারণে অসুস্থ থাকার ফলে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন । ১৯৭ সালে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স কৌশল বিভাগ (EEE) এর উচ্চমান সহকারী পদে নিযুক্ত হোন এবং ২০০১ সালের ১৫ এপ্রিল অবসর গ্রহণ করেন।


তার বর্তমান বয়স ৮৫ বৎসরের বেশি। তিনি এখন তার একমাত্র স্ত্রী ও পুত্র-কন্যাদের সাথে জামালপুর শহরে বসবাস করছেন।


আমার মাতার পরিচয়

শাকিল আহমেদ এর মা একজন আদর্শ গৃহিণী। তিনি ৬ সন্তানের জননী। শাকিল আহমেদ এর নানা মোঃ নাসির উদ্দিন মৌলভী ছিলেন গুঠাইল সিনিয়র মাদরাসার শিক্ষকতার সাথে জড়িত। আমার নানা বাড়ীর ঠিকানা:- কাছিমা মধ্যপাড়া জামে মসজিদ, গ্রাম: কাছিমা, ডাকঘর: গিলাবাড়ী, উপজেলা: ইসলামপুর, জেলা: জামালপুর।

প্রকাশিত সাহিত্যকর্ম

আমার স্বপ্ন

জানুন

ইসলামপুর সম্পর্কে

ইসলামপুর উপজেলা বাংলাদেশের জামালপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।  অবস্থান স্থানাঙ্ক: ২৫°৫′২″ উত্তর ৮৯°৪৭′৩৩″ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।



এটি ময়মনসিংহ বিভাগের অধীন জামালপুর জেলার ৭ টি উপজেলার একটি এবং এটি জেলার মধ্যভাগে অবস্থিত। ইসলামপুরের উত্তরে দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলা ও শেরপুর সদর উপজেলা, পশ্চিমে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলা, ফুলছড়ি উপজেলা ও বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলা।



ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯১৪ সালে জামালপুর মহকুমাধীনে ইসলামপুর থানা গঠিত হয়। জামালপুর জেলা হওয়ার পর ১৯৮৩ সালের ৩রা নভেম্বর ইসলামপুর উপজেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামপুর উপজেলা জামালপুর-২ সংসদীয় আসনের অন্তর্ভুক্ত । এ আসনটি জাতীয় সংসদে ১৩৯ নং আসন হিসেবে চিহ্নিত।



ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা বিধৌত একটি প্রাচীন জনপদের নাম ইসলামপুর। ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার শাখা নদী ও খাল-বিল বহুল এই এলাকা নদীভাঙ্গন ও বন্যাপ্রবণ। প্রাচীনকালে ভূমিকম্পে এই অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি অনেকটা বদলে যায়। ইংরেজ আমলে এই অঞ্চল পাতিলাদহ পরগণার অধীনে ছিল। বর্তমানে ইসলামপুর সরকারি কলেজের পশ্চিম দিকে সদর রাস্তার দক্ষিণে পাতিলাদহ পরগণার কাচারিঘর ছিল। বর্তমানে সেখানে সরকারি রাজস্ব বিভাগের বিভিন্ন অফিস বিদ্যমান।


এই উপজেলার সাথে ইংরেজ আমলের নীলচাষ ও নীলকর সাহেবদের অত্যচারের নানা ইতিহাস জড়িয়ে আছে। উপজেলা সদর থেকে দেড়মাইল দূরে পলবান্ধা ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের ২৬৬ একর জমিসহ আশপাশের বিস্তৃত কৃষিজমিতে অত্যাচারী নীলকর সাহেবেরা চাষিদের নীলচাষে বাধ্য করেছিল। তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার মধ্যে এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি নীল চাষ হতো। এখানে ইংরেজদের নীলকুঠি ছিল। এখনও নীলকুঠির ধ্বংসাবশেষ এবং নীল প্রস্তুতের সরঞ্জমাদির চিহ্ন বিদ্যমান রয়েছে।


ইসলামপুর নামকরণের বিষয়ে তিনটি মত প্রচলিত আছে। প্রথম মতটি হলো- মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে ইসলাম খাঁ বাংলার সুবেদার হয়ে আসেন। সুবেদার ইসলাম খাঁ কোন এক সময়ে এ অঞ্চলে এসেছিলেন। তাঁকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এ অঞ্চলের নাম ইসলামপুর রাখা হয়। দ্বিতীয় মতটি হলো- ইসলাম শাহ নামে একজন কামেল পীর এ অঞ্চলে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য এসেছিলেন। তাঁর নামানুসারে এ এলাকার নামকরণ ইসলামপুর হয়েছে। তৃতীয় মতটি হলো- প্রায় শতাধিক বছর পূর্বে পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ইসলামপুর নামে একটি মৌজা ছিল। এই মৌজায় স্থানীয় জনগণ একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করে। থানা সৃষ্টি হলে মৌজার নামনুসারে থানার নামকরণ হয় ইসলামপুর।


একসময় ইসলামপুর অঞ্চলটি তামা ও কাঁসা শিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল। ইসলামপুরের তামা কাঁসাজাত ধাতব শিল্পের সুনাম দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। এখানকার কর্মকারেরা নানা আকৃতির ও প্রকৃতির কাঁসার থালা, বাটি, গ্লাস, রেকাবি, পানের বাটা, সুরমাদানি, আতরদানি, দীপাধার, ধূপাধার, খাট-পালঙ্কের খুরা, কলসি, জগ, কাঁসার ঘণ্টা, ছুরি-তরবারির বাট প্রভৃতি প্রস্তুতে সিদ্ধহস্ত ছিল। এ প্রসঙ্গে কিংবদন্তি আছে যে, ইসলামপুরী মসৃণ গ্লাসে থাকা মিষ্টি খাবার জন্য গ্লাসের কানি বেয়ে পিঁপড়াও উঠতে পারত না। এছাড়া ইসলামপুরের বড় গোল বেগুন ও আখের গুড় এ অঞ্চলসহ সারাদেশে বিখ্যাত।



নদ-নদী, খাল, বিল পরিবৃত এই উপজেলা একটি বন্যাপ্রবণ এলাকা। এখানকার আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে তাপমাত্রা ৩০° থেকে ৩৩° সেলসিয়াস থাকে। এখানকার মাটি বেলে-দোআঁশ ও দোআঁশ প্রকৃতির। মোট কৃষিজমির পরিমান ৬৫৩১৩ একর, আবাদি জমির পরিমান ৩৯৬৮২ একর।

জামালপুর সম্পর্কে

জামালপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যাংশের অঞ্চল। ময়মনসিংহ বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। বিশেষ করে কৃষি পণ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র। জেলাটি রেল পথে জগন্নাথগঞ্জ ঘাট, এবং বাহাদুরাবাদ ঘাট ও ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, এবং মেঘালয় (ভারত) এর সঙ্গে রাস্তা দ্বারা সংযুক্ত। কৃষি প্রধান এ অঞ্চলে মূলত প্রধান ফসলের মধ্যে ধান, পাট, আখ, সরিষা বীজ, চিনাবাদাম, এবং গম হয়।ভারত থেকে আমদানিকৃত পন্য ও রপ্তানির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হল জামালপুর। দেশের সবথেকে বড় সার কারখানা এখানেই রয়েছে।


ইতিহাস

ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়, দিল্লির সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে (১৫৫৬-১৬০৫) হযরত শাহ জামাল নামে একজন ধর্মপ্রচারক ইয়েমেন থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে ২০০ জন অনুসারী নিয়ে এ অঞ্চলে এসেছিলেন। পরবর্তীতে ধর্মীয় নেতা হিসাবে তিনি দ্রুত প্রাধান্য বিস্তার লাভ করেন। ধারণা করা হয়, শাহ জামাল-এর নামানুসারে এই শহরের নামকরণ হয় জামালপুর। ময়মনসিংহ জেলার অধীনে ১৮৪৫ সালে জামালপুর মহকুমা গঠিত হয়। ভয়াবহ বন্যায় যমুনা নদীর সৃষ্টির পরে জামালপুর মহকুমার সিরাজগঞ্জ থানাকে পাবনা জেলার সাথে জুড়ে দেওয়া হয় ১৮৫৫ সালে। দেওয়ানগন্জ থানা রংপুর জেলা হতে ১৮৬৬ সালে জামালপুর মহকুমায় যুক্ত করা হয়। এরপর ১৮৭৯ সালে টাংগাইল মহকুমা গঠিত হলে মধুপুরসহ বেশ কিছু এলাকা জামালপুর মহকুমা হতে টাংগাইল মহকুমার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৭৮ সালে ২৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ থেকে পৃথক করে জামালপুরকে বাংলাদেশের ২০ তম জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৪ সালে জামালপুর জেলা ভেঙ্গে শেরপুর জেলা গঠন করা হয়।


অবস্থান ও আয়তন

এই জেলার উত্তরে ভারতের মেঘালয়, কুড়িগ্রাম জেলা এবং শেরপুর জেলা, দক্ষিণে টাঙ্গাইল জেলা, পূর্বে শেরপুর জেলা ও ময়মনসিংহ জেলা, পশ্চিমে সিরাজগঞ্জ জেলা, বগুড়া জেলা ও গাইবান্ধা জেলা।


প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

জামালপুর জেলা ৭টি উপজেলা, ৭টি থানা, ৮টি পৌরসভা, ৬৮টি ইউনিয়ন, ৮৪৪টি মৌজা, ১৩৪৬টি গ্রাম ও ৫টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।


জনসংখ্যা

জনসংখ্যা ২৩,৮৪,৮১০ জন। পুরুষ ৫০.৫৮%, মহিলা ৪৯.৪২%। মুসলিম ৯৭.৭৪%, হিন্দু ১.৯২%, খ্রিষ্টান ০.০৭%, বৌদ্ধ ০.০৪% এবং অন্যান্য ০.১৪%। উপজাতিগোষ্ঠী - গারো, হদি, কুর্মী এবং মাল অন্যতম।


ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

মসজিদ ৪২০২ টি, মন্দির ৪৪ টি, গীর্জা ৩৯, সমাধি ১৩। সবচেয়ে সুপরিচিত শৈলেরকান্ধা আল মসজিদু আসছালাম জামে মসজিদ, গৌরীপুর কাঁচারী জামে মসজিদ, শাহ জামাল সমাধি, শাহ কামাল সমাধি, হযরত দেওয়ান শাহ এর মাজার এবং দয়াময়ী মন্দির।


ঐতিহ্য

জামালপুর জেলার বিভিন্ন জিনিসের দেশজোড়া খ্যাতি রয়েছে। তার মধ্যে ইসলামপুরের কাঁসার বাসন ও গুড়, মেলান্দহের উন্নতমানের তামাক ও তৈল, দেওয়ানগঞ্জের আখ ও চিনি, সরিষাবাড়ীর পাট ও সার, মাদারগঞ্জের মাছ, দুধ ও ঘি, বকশীগঞ্জের নকশীকাথা, চিনা মাটি, কাঁচ বালি, নুড়ি পাথর, বাঁশ ও বেতের আসবাবপত্র, জামদানি শিল্প এবং জামালপুর সদর উপজেলার আনারস, পান, বুড়িমার মিষ্টি ও আজমেরীর জিলাপী, সর ভাজা, ছানার পায়েস, ছানার মিষ্টি অন্যতম। তাছাড়া জামালপুরের বিভিন্ন এলাকার কংকরযুক্ত লাল বালি, সাদা মাটি, কাঁচবালি এবং শাক-সবজি নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অনেক জেলার চাহিদা মিটাতে সহায়তা করে। জামালপুরের নকশী কাঁথা ও নকশী চাদর এখনো সারা দেশে সমাদৃত।


কাসা শিল্প:

জামালপুর জেলার ইসলামপুরের কাসা শিল্প একসময় সারা বিশ্বব্যাপি পরিচিত ছিল। কাসা দিয়ে বিভিন্ন নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদি তৈরী হত। এর মধ্যে ঘটি-বাটি, পে­ট, জগ, গ্লাস, বদনা, হুক্কা, খেলনা সামগ্রী এবং পূজা পার্বনে ব্যবহুত জিসিষপত্র ইত্যাদি। এগুলোর নির্মাণ শৈলী খুবই চমৎকার ছিল এবং মানুষ এগুলোকে তৈজসপত্র হিসেবে পারিবারিক ও ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করত। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এ শিল্পের সাথে বেশি জড়িত ছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এ শিল্পের সাথে জড়িত অনেকেই দেশ ত্যাগ প্রতিবেশী ভারতে চলে যায়। পাকহানাদার বাহিনী এ শিল্পের সাথে জড়িতদের ঘরবাড়ী আগুনে পুড়ে দেয়ায় স্বাধীনতার পর অনেকেই দেশে ফিরে তাদের পৈত্রিক পেশা বাদ দিয়ে বর্তমানে অন্য পেশায় নিয়োজিত হচ্ছে। তাছাড়া আধুনিক যুগে নৈত্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদির ধরন বদলে যাওয়ায় বর্তমানে এ শিল্পে ধস নেমেছে। তবুও পৈত্রিক পেশাকে ধরে রখার জন্য বর্তমানে ইসলামপুরে প্রায় ২০/২৫টি পরিবার কাজ করছে। কাসা শিল্পের সাথে জড়িতরা খুবই গরীব। এদেরকে সরকারিভাবে আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করা হলে এবং বেসরকারী সংস্থাগুলো এদের পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে এলে এ শিল্পটি তার হৃতগৌরব পুনরায় ফিরে পেত এবং শিল্পীরা তাদের বাপদাদার পেশাটিকে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হত।


নকশীকাঁথা শিল্প:

আবহমানকাল থেকেই বাংলার বধূরা স্বভাবগতভাবেই বাংলার ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের দৃশ্যগুলোকে মনের মাধুরী মিশিয়ে সূই-সূতার মাধ্যমে কাপড়ের উপর তৈরী করত অপূর্ব চিত্র। গ্রামের বৌ-ঝিরা সাংসারিক কাজের ফাঁকে ফাঁকে সৌখিনতাবশত, নকশীকাঁথা তৈরী করত। মেয়ে বড় হওয়ার সাথে সাথে মা, নানী-দাদীরা মেয়েকে শ্বশুরবাড়ী পাঠানোর সময় বাহারী রঙ এর নকশীকাঁথা সঙ্গে দিত। যারা গরীব তারাও মেয়েকে ২/১ টি কাথাঁ বালিশ দিতে ভুলত না। জামালপুরের নকশী কাঁথা ও হাতের কাজের বাহারী পোশাক পরিচ্ছদ সারাদেশে বহু পূর্ব থেকেই প্রশংসিত ছিল। বর্তমানে তা আরো উন্নত হয়ে দেশে ও দেশের বাইরে সমাদৃত হচ্ছে। জামালপুরের বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ এবং সদর উপজেলাতেই নকশী কাঁথা শিল্পের কম বেশি উৎপাদন হয়। তবে জামালপুর সদর উপজেলায় এ শিল্পের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে জামালপুর শহরে এর আধিক্য সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যণীয়। এখানকার পোশাক পরিচ্ছদের গুণগতমান উন্নত হওয়ায় এবং দাম তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় দেশ ও দেশের বাইরে এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।


এ ঐতিহ্যবাহী মনোমুগ্ধকর সূচি শিল্পটি একসময় হারিয়ে যেতে বসেছিল। ৭০ দশকের শেষভাগে এ শিল্পের চিহ্ন প্রায় বিলুপ্ত হতে থাকে। অবশেষে ৮০ দশকের শুরুতেই আবার হারাতে বসা নকশী শিল্পটি পুনরুদ্ধার করে বাণিজ্যিক ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় গতিযোগ করে ব্র্যাক নামীয় বেসরকারী প্রতিষ্ঠানটি।


নকশীকাঁথা শিল্পের জিনিস পত্রাদির মধ্যে রয়েছে নকশীকাঁথা, বেড কভার, থ্রীপিছ, ওয়ালমেট, কুশন কভার, শাড়ী, পাঞ্জাবী, টি শার্ট, ফতুয়া, স্কার্ট, লেডিজ পাঞ্জাবী, ইয়ক, পার্স, বালিশের কভার, টিভি কভার, শাড়ীর পাইর, ওড়না, ফ্লোর কুশন, মাথার ব্যান্ড, মানি ব্যাগ, কলমদানী, মোবাইল ব্যাগ, ওয়ালমেট, ছিকা, শাল চাদর ইত্যাদি। নকশীকাঁথা পণ্যের মূল্য ২৫ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।


মৃৎ শিল্প:

কুমার সম্প্রদায় এ অঞ্চলে গ্রামীণ লোকায়ত জীবনে পোড়া মাটির শিল্প দ্রব্য এবং তৈজসপত্র তৈরী করে ব্যাপকভাবে পরিচিতি অর্জন করেছে। ১৯০১ সালের লোক গগণা হিসেবে জামালপুরের কুমার পরিবারের লোক সংখ্যা ছিল ১৫০০ জন। এরা হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত ছিল। এদের তৈরী জিনিসপত্র জামালপুরসহ সারা দেশেই সমাদৃত ছিল। সে আমলে ভাত তরকারীসহ রান্না-বান্নার যাবতীয় কাজ মাটির হাড়িতেই হতো। মাটির কলসে পানি রাখত, মাটির গ্লাসে পানি এবং কাদাতে (থালা) ভাত খেত। বর্তমানে আধুনিক এল্যুমিনিয়াম, ষ্টিল এবং মেলামাইনের তৈজসপত্র তৈরীর ফলে মাটির বাসন কোসন প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে। তবে এখনও কিছু কিছু পরিবারে মাটির বাসন-কোসনের ব্যবহার করতে দেখা যায়। মৃৎ শিল্পের সাথে জড়িতদের অনেকেই পৈত্রিক পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় কাজ করতে উৎসাহী নয়। ফলে তাদেরকে মানবেতন জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে এবং এ পেশার সাথে জড়িতদের কথা বিবেচনা করে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া প্রয়োজন।


তাঁত শিল্প:

জামালপুরের তাঁত শিল্প এক সময় খুবই উন্নত ছিল। বর্তমানে এ শিল্পটি মৃতপ্রায়। জেলার সদর উপজেলার দিকপাইত, মেষ্টা ও তিতপল্লা ইউনিয়নে বর্তমানে কিছু তাঁতী রয়েছে। বকশীগঞ্জ উপজেলায় একটি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট রয়েছে। এ শিল্পটিকে সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা হলে শিল্পটি আবারো তার হ্রত গৌরব ফিরে পেতে পারে।


খাবার:

জামালপুর জেলার লোকজন সাধারণত ভাত, মাছ, মাংশ, ডাল ও শাক-সবজি খেতে পছন্দ করে। তবে কারো মৃত্যু উপলক্ষে বা কোন বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে এ জেলার মানুষ একটি বিশেষ খাবার খেয়ে থাকে। তা হলো মেন্দা বা মিল্লি বা মিলানি বা পিঠালি। দেখতে অনেকটাই হালিমের মতো। যেটি গরু বা খাসি বা মহিষের মাংশের সাথে সামান্য চালের গুঁড়া ও আলু দিয়ে রান্না করা হয়। তার সাথে সাদা ভাত ও মাশকলাইয়ের ডাল। অনেক জায়গায় খাবার শেষে দই ও মিষ্টিও দিয়ে থাকে।


শিক্ষা

শিক্ষার গড় হার ৩৫.৫%; যার মধ্যে পুরুষ ৪১.১% ও মহিলা ৩৫.৯%। এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান -


দর্শনীয় স্থান

শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী, সদর

গারো পাহাড় লাউচাপড়া পাহাড়িকা বিনোদন কেন্দ্র - বকশীগঞ্জ উপজেলা;

জিল বাংলা চিনিকল - দেওয়ানগঞ্জ;

হরিশচন্দ্রের দীঘি - দেউর পাড় চন্দ্রা,জামালপুর

যমুনা সিটি পার্ক - পোগলদিঘা, সরিষাবাড়ী;

লুইস ভিলেজ রিসোর্ট অ্যান্ড পার্ক-বেলটিয়া, জামালপুর।

যমুনা জেটি ঘাট -জগন্নাথগঞ্জ ঘাট, সরিষাবাড়ী;

গুঠাইল বাজার ঘাট, ইসলামপুর উপজেলা।

উলিয়া বাজার পাইলিং ঘাট, ইসলামপুর উপজেলা।

বাহাদুরাবাদ ঘাট, কুলকান্দি, ইসলামপুর উপজেলা।

স্বপ্ননীল পার্ক, সাতপোয়া, সরিষাবাড়ী।

গান্ধী আশ্রম,হাজীপুর।

৩৫ বিজিবি ক্যাম্প,সদর

মধুটিলা ইকোপার্ক

নান্দিনা-শ্রীপুর-বাশচরা কাছাকাছি পাহাড়

মার রাজনৈতিক পরিমন্ডল